মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, সবশেষ ফলাফল অনুযায়ী: মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৭৬টি ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিস পেয়েছেন ২১৯টি ইলেকটোরাল ভোট। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য ২৭০টির প্রয়োজন, তার থেকেও ৬টি ভোটে এগিয়ে ট্রাম্প।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সময় বুধবার ৪টার দিকেই ম্যাজিক ফিগার ২৭০ এ পৌঁছে যান ট্রাম্প। ফল নির্ধারণী ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্য খ্যাত জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, ফ্লোরিডা, মেইন, পেনসিলভানিয়ায় জয়ে হোয়াইট হাউসে নিশ্চিত প্রত্যাবর্তন হয় ট্রাম্পের। 

এই জয়ের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৮ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এক মেয়াদের বিরতিতে দ্বিতীয় বারের মতো প্রেসিডেন্ট হতে যাওয়া প্রথম ব্যক্তি হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এদিকে ফলাফল ঘোষণার আগেই নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন ট্রাম্প এবং দেশটির জনগণকে ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রত্যয় রেখেছেন প্রতি মুহূর্তে আমেরিকানদের পাশে থাকবেন। বলেন, আবার যুক্তরাষ্ট্রের সোনালী যুগ হবে।

পেনসিলভেনিয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সুইং স্টেট জয়ের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে নিজের প্রচারাভিযানের সদরদপ্তরে উল্লাসরত সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, এটি তার জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত।

এই জয়কে রাজনৈতিক বিজয় ঘোষণা করে ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ নজিরবিহীন রায় দিয়েছে। এটি জনগণের জন্য একটি দুর্দান্ত বিজয়। এ বিজয় আমাদের আমেরিকাকে আবার মহান করার সুযোগ দেবে।’

‘আমি যুক্তরাষ্ট্রকে সোনালী যুগে নিয়ে যাবো। জনগণ এই দিনটি আবার ফিরে দেখবে। এই দিনকে আমেরিকানরা নিজেদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করবে।’

ভাষণে স্ত্রী ও পরিবারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন ট্রাম্প। স্ত্রী মেলানিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাকে ফার্স্ট লেডি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। ট্রাম্প বলেন, ‘মেলানিয়া দুর্দান্ত কাজ করেছে। মানুষকে সাহায্য করার জন্য সে খুব কঠোর পরিশ্রম করেছে।’

ভাষণের পর ট্রাম্প তার রানিংমেট জে ডি ভান্সকে শুভেচ্ছা জানান। বলেন, ‘ভান্স যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন।’ ভান্স এসময় ট্রাম্পের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন।