অনলাইন ডেস্ক।। হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও লেবাননে অভিযান এবং তেহরানে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলে ব্যাপক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান। এর মধ্যে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে আরও একটি যুদ্ধের দামামা বেজে উঠলো।

মঙ্গলবার তেহরানের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্ন স্থানে ২০০টিরও বেশি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র একসঙ্গে ছোড়া শুরু করে ইরান।

ইরানের ফারস বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে বলেছে, গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ এবং এই বছরের শুরুতে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে আইআরজিসি বলেছে, ‘ইসমাইল হানিয়াহ, হাসান নাসরাল্লাহ এবং (আইআরজিসি কমান্ডার আব্বাস) নীলফরৌশানের শহীদ হওয়ার প্রতিক্রিয়ায়, আমরা অধিকৃত অঞ্চলের কেন্দ্রস্থলকে লক্ষ্যবস্তু করেছি।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাতে টাইম অব ইসরায়েলসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান।

ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব নাগরিককে একটি সুরক্ষিত এলাকায় থাকতে বলা হচ্ছে।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ‘বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় রয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে শনাক্ত এবং ভূপাতিত করা হচ্ছে, এমনকি এই মুহূর্তেও।’

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরান মিসাইল ছোড়ার পর দখলদার ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিবে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। এছাড়া সাইরেন শোনা যায় জেরুজালেমেও।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, তেলআবিবের আকাশে অগ্নিকুণ্ড ও মিসাইল দেখা গেছে।

অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সাংবাদিক মোহাম্মদ খাইরি বলেছেন, জেরুজালেম এবং ইসরায়েলের দিকে পশ্চিম দিকে আকাশে কয়েক ডজন প্রজেক্টাইল দেখা যায়।

তিনি বলেন ‘মিসাইল প্রায় অবিরাম যাচ্ছে। সাইরেন তখনও বাজছে। এই মুহূর্ত পর্যন্ত, ইসরায়েলের বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।’

এর আগে মঙ্গলবারই ইরান যেকোনো মুহূর্তে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে বলে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছিল মার্কিন কর্মকর্তারা। এর কয়েক ঘণ্টা পরই হামলা চালায় ইরান।