প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর লেবাননে সিরিজ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ বৈরুতে হিজবুল্লাহর সদরদপ্তরে সংগঠনটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে নিশানা করে এই হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু হিজবুল্লাহর সূত্রগুলো এএফপি, রয়টার্স এবং লেবানন ও ইরানের স্থানীয় মিডিয়াসহ বিভিন্ন সংবাদ সংস্থাকে বলছে, দাহিহ শহরতলিতে হামলার পর নাসরুল্লাহ বেঁচে আছেন এবং নিরাপদে আছেন।
এই হামলার টার্গেট সম্পর্কে ইসরায়েল এবং হাসান নাসরুল্লাহর বর্তমান অবস্থার বিষয়ে হিজবুল্লাহ এখন পর্যন্ত অফিসিয়াল কোনো বক্তব্য দেয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে একজন জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন যে, হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে লক্ষ্য করে শুক্রবারের হামলা সফল হয়েছে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তা জানতে আমরা অপেক্ষা করছি।
সম্প্রতি হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে টেলিভিশন ভাষণে বলেছিলেন, 'পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।'
তিনি বলেন, 'এই আক্রমণ যাবতীয় আইন, নৈতিকতা ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এটাকে যুদ্ধ ঘোষণা বা যুদ্ধাপরাধ বলা যেতে পারে।'
এদিকে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, 'বৈরুতে সর্বশেষ হামলাগুলোর মানে হচ্ছে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে কোনো পাত্তা দিচ্ছে না।'
তিনি দ্রুত দেশে ফিরে জরুরি বৈঠকে বসবেন বলে তার অফিস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
হিজবুল্লাহ নেতা কে এই হাসান নাসরুল্লাহ
শিয়া নেতা হাসান নাসরুল্লাহ ১৯৯২ সাল থেকে হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সংগঠনটিকে একটি রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তার।
ইরান ও এর সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গেও হাসান নাসরুল্লাহর রয়েছে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ।
নাসরুল্লাহ কয়েক বছর ধরেই জনসমক্ষে আসছেন না। ইসরায়েলের হাতে হত্যার শিকার হওয়া থেকে বাঁচতেই তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে আছেন বলে মনে করা হয়।
প্রকাশ্যে না এলেও হিজবুল্লাহর কাছে নাসরুল্লাহর আবেদন যথেষ্ট রয়েছে।