প্রথমবারের মতো মঙ্গলপৃষ্ঠের ‘টাইমল্যাপ্স’ ধারণ করেছে গ্রহটিতে অবস্থান করা নাসার রোভার ‘কিউরিওসিটি’।

কয়েক সপ্তাহ আগে মঙ্গলে অবস্থান করা বিভিন্ন রোবোটিক নভোযানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় নাসার। সে সময় পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহ নিজ কক্ষপথের এমন জায়গায় পৌঁছেছিল, যেখানে তাদের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থান করেছে সূর্য। এমন ঘটনা ‘সোলার কনজাংকশন’ নামে পরিচিত।

সোলার কনজাংকশন এড়াতে ‘কিউরিওসিটি’ রোভারটির কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল— তবে রোভারের নীচের অংশে থাকা ‘হ্যাজার্ড-অ্যাভয়েডেন্স (হ্যাজক্যাম)’ ক্যামেরা সক্রিয় থাকায় প্রথমবারের নিজের স্থির অবস্থান থেকে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মঙ্গল গ্রহের দিনের দৃশ্য রেকর্ড করেছে রোভারটি।

উল্লেখ্য, মঙ্গল গ্রহে থাকা রোভার যানটির সামনের ও পেছনের দৃশ্য রেকর্ড বা সম্ভাব্য বিপদ এড়ানোর উদ্দেশ্যে ‘হ্যাজক্যাম’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ক্যামেরাটি ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মঙ্গলপৃষ্ঠে নিজস্ব গতিবিধির ভিডিও ধারণ করেছে। আর এ কর্মযজ্ঞ চলেছে সোলার কনজাংকশন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত।

নাসা বলছে, তারা নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ সোলার কনজানশন শুরুর কিছু দিন আগে ‘কিউরিওসিটি’কে ১২ ঘণ্টার দৃশ্য রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছিল।

এর লক্ষ্য ছিল, ক্যামেরায় হয়ত মঙ্গলের আবহাওয়ার এমন কোনো দৃশ্য ধারণের সম্ভাবনা আছে, যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। শেষ পর্যন্ত এমনটি না ঘটলেও গত ৮ নভেম্বর ‘কিউরিওসিটি’র তোলা ছবিগুলো বেশ চমকপ্রদ। আর সে দৃশ্যগুলো সমন্বিত করা হয়েছে দুটি ভিডিও’তে, যা তুলেছে রোভারের সামনের ও পেছনের অংশে থাকা হ্যাজক্যাম।

‘কিউরিওসিটি’র হ্যাজক্যামগুলো সাধারণত এমন পরিস্থিতি এড়াতে সাহায্য করে, যা রোভারের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

দৃশ্যগুলো ধারণ করার সময় রোভারটির অবস্থান ছিল মঙ্গল গ্রহের শৃঙ্গ ‘মাউন্ট শার্পে’র নিচে, যেখানে সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত মঙ্গলপৃষ্ঠের টাইমল্যাপ্স ধারণ করেছে নভোযানটি।

এদিকে, সোলার কনজাংকশন শেষ হওয়ার পর কিউরিওসিটি’র গতানুগতিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছে নাসা।