“মানুষ ভালো নেই, দুর্যোগ বাড়বে, প্রস্তুতি বাড়াতে হবে। কম্যুনিটির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ছাড়া উপায় নেই।” আজ শনিবার পরিবেশ সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর জাতীয় সংলাপে এই কথা বলেন পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।
৩০ মার্চ, ২০২৪, শনিবার সকাল ১০:৩০ মিনিটে পরিবেশ সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে “উপকূলের জীবন-জীবিকাঃ সংকট ও করণীয়”-শীর্ষক এই জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য এবং রোমান ক্যাথলিক চার্চ ঢাকা-এর আর্চবিশপ বিজয় নিসফরাস ডি’ক্রুজ, ওএমআই এর সভাপতিত্বে এবং ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর সদস্য সচিব শরীফ জামিল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই জাতীয় সংলাপে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপকূলীয় অঞ্চল খুলনার সাবেক সংসদ সদস্য (সংরক্ষিত নারী আসন) এডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার।
সংলাপে সম্মানিত আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর সহ-আহ্বায়ক শারমীন মুরশিদ, এবং বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের বেসরকারি উপদেষ্টা, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর সহ-আহ্বায়ক এমএস সিদ্দিকী। সংলাপে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উপকূল রক্ষায় আমরা এর সমন্বয়ক জনাব নিখিল চন্দ্র ভদ্র।
সংলাপে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একুয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যান জনাব মীর মোহাম্মদ আলী এবং বেসরকারি সংস্থা ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভের গবেষণা এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপক জনাব মোঃ ইকবাল ফারুক।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা এর সমন্বয়ক নূর আলম শেখ, চুনতি রক্ষায় আমরা এর সমন্বয়ক সানজিদা রহমান এবং উপকূল অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতিনিধিবৃন্দ। জাতীয় সংলাপে উপকূল অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ব্যক্তিবর্গের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বরগুনার তালতলীর কৃষক রফিকুল ইসলাম, বরগুনার পরিবেশ কর্মী শফিকুল ইসলাম খোকন, কক্সবাজারের পরিবেশ কর্মী ফরিদুল আলম শাহিন এবং তৌহিদ বেলাল, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মোহাম্মদ আল ইমরান, বাগেরহাটের ক্ষতিগ্রস্ত নারী কমলা সরকার, বনজীবী ইসরাফিল বয়াতি, বরগুনার তালতলী উপজেলার টেংবাগিরির আরিফুর রহমান, স্কুল শিক্ষার্থী প্রজ্ঞা নূর প্রমূখ।
সভাপতির আলোচনায় আর্চবিশপ বিজয় নিসফরাস ডি’ক্রুজ, ওএমআই বলেন, উপকূলের মানুষের কান্না আমরা শুনতে পাই। তাদের কান্না যেন আমাদের হৃদয়েও বাজে। সৃষ্টিকর্তার এই পৃথিবীর সকল মানুষ ভাই ভাই। আমরা সংঘাতে না জড়িয়ে আমাদের নিজেদের রক্ষা করতে পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে। জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় একসাথে কাজ করতে হবে আমাদের সকলকে।
অনুষ্ঠিত জাতীয় সংলাপে শরীফ জামিল বলেন, দেশের অন্যতম পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) খুব অল্প সময় আগে এর কার্যক্রম শুরু করলেও সারাদেশের বিভিন্ন এলাকার জলবায়ু, পরিবেশ ইত্যাদির সমস্যাসমূহ নিয়ে কাজ করতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের অন্যান্য পরিবেশ সংবেদনশীল এলাকাগুলোর মধ্যে উপকূল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর যে কয়েকটি দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম আর এই জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির ফলে বাংলাদেশের উপকূলের মানুষ এবং বাস্তুসংস্থান আজ সংকটে নিপতিত। জলবায়ু পরিবর্তন ও নানাবিধ অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফলে উপকূলীয় মানুষের ভালোভাবে টিকে থাকা এখন অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে।
জাতীয় সংলাপে এডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন, যারা নদী ধ্বংস করছেন, যারা খাল দখল করছেন তারা এই সমাজেরই, আমাদেরই পরিবারের, সমাজের। এরা সবসময় ক্ষমতার আশেপাশেই থাকেন, এরা ব্যবসায়ী। নদী এবং পরিবেশ রক্ষায় সুধীজন এবং সমাজের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।
ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, নদীর দখল করে প্রস্তুত করা স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। নদী দখল করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যাবে না। নদী বাঁচাতে হবে। পরিবেশ বাঁচাতে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।
ড. আইনুন নিশাত বলেন, প্রকৃতি বদলাচ্ছে। আমাদেরকে অবশ্যই প্রকৃতিকে বুঝতে হবে। ষড়ঋতুর দেশে বাংলাদে আজ চার ঋতুতে পরিণত হয়েছে। আষাঢ়েও এখন আর বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায় না। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল সমুদ্রগর্ভে বিলীন হবে আর লবণাক্ততা বেড়ে ঢুকে যাবে আরো ভেতরে। রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং এর বিকল্প নেই। মানুষকে সচেতন হতে হবে। কম্যুনিটি বেজড অ্যাডাপটেশন নিয়ে কাজ করতে হবে, বাড়াতে হবে কম্যুনিটির অংশগ্রগণ।
সংলাপে শারমীন মুরশিদ বলেন, নদী হলো পাবলিক প্রোপার্টি। এই নদীতে বাধ দেওয়া হচ্ছে কার সিদ্ধান্ত? নদীতে বর্জ্য ফেলা আইন করে বন্ধ করতে হবে। উপকূল রক্ষায় গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। উপকূলের কম্যুনিটির মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
অনুষ্ঠানে এমএস সিদ্দিকী বলেন, মানুষই যদি না থাকে তাহলে উন্নয়ন দিয়ে কি করবো। মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বাঁচাতে হবে নদী ও পরিবেশকে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে সকলে একত্রে কাজ করতে হবে।
সংলাপে নূর আলম শেখ বলেন, আমরা সারাবছর পানির মধ্যেই বসবাস করি কিন্তু খাওয়ার জন্য সুপেয় পানি পাই না। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের গরম পানি নদী ছাড়া হচ্ছে। ততে মরে যাচ্ছে নদীর মাছ। অন্যন্য প্রাণীরা আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে। সানজিদা রহমান বলেন, চুনতি অভয়ারণ্য থেকে বাঁশখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দূরত্ব মাত্র ৩ কিলোমিটার। এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাবে অভয়ারণ্য আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পড়েছে, বিলীন হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।
সংলাপে অন্যান্য আলোচকবৃন্দ বলেন, লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়া এই অঞ্চলে বেড়েছে সুপেয় পানির সংকট। সুন্দরবন উপকূলে ৭৩% পরিবার সুপেয় পানির পরিবর্তে খারাপ পানি খেতে বাধ্য হয়। গত ১২ বছরে বাস্তুচ্যুত হয়ে উপকূল অঞ্চলের ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ। গত ৩৫ বছরে উপকূলীয় অঞ্চলে পূর্বের তুলনায় লবণাক্ততা বেড়েছে ২৬ ভাগ যার পরিমাণ ২ পিপিটি থেকে বেড়ে ৭ পিপিটিতে দাঁড়িয়েছে আর তার প্রভাব পড়েছে কৃষিখাতে। লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপ আর কমছে জন্মহার। উপকূলে গর্ভবতী মায়েদের প্রি-একলাম্পশিয়া ও উচ্চ রক্তচাপের হার ৬.৮ থেকে ৩৯.৫ শতাংশ বেড়েছে। জাতীয়ভাবে দেশে জন্মহার ১.৩৭ শতাংশ হলেও সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জন্মহার মাত্র ০.৮৯ শতাংশ। এছাড়াও নারীদের জরায়ু রোগ, গর্ভকালীন ঝুঁকি এমনকি অপরিণত শিশু জন্ম দেওয়ার হারও বেড়েছে।
জাতীয় সংলাপে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে আসা জলবায়ুর অভিঘাতে ভূক্তভোগী পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মোহাম্মদ আল ইমরান বলেন, ইলিশের অভয়াশ্রম আন্ধারমানিক নদী আজ বালি দ্বারা পরিপূর্ণ হয়েছে। এখানে আর মাছ আসতে পারছে না। কৃষির সাইকেল চেঞ্জ হয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে লবণাক্ততা। এই এলাকার পানি ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের স্বার্থ বিবেচনায় আনতে হবে।
বরগুনার তালতলীর ভূক্তভোগী কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কৃষিকাজ করি। আমাদের গ্রামের নাম ‘সবজি গ্রাম’। অসময়ের বৃষ্টিতে প্রতিবছরই আমাদের সবজি নষ্ট হয়। আমাদের ওখানে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হওয়ার কারণে ৫ টি খাল বন্ধ করা হয়েছে। তাই তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গরম পানি ছাড়ে। এতে মরে যাচ্ছে ইলিশ মাছ। আগের মতো হচ্ছে না ধান চাষ।
সুন্দরবনের বনজীবী ইসরাফিল বয়াতি বলেন, আমরা সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল মানুষ। আমরা অন্য কোথাও গিয়ে কিছু করতে পারি না। সুন্দরবনের মাছ কমে যাচ্ছে। নদীতে আগের মতো আর মাছ পাওয়া যায় না। ঠিক মতো পাওয়া যায় না মধুও। ভরাট হয়ে যাচ্ছে জলাশয়। যে সময়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে তখন আমরা কি খাবো তার কোন ব্যবস্থা থাকে না। আমাদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
কক্সবাজারের মহেশখালী পরিবেশকর্মী ফরিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, গত ১০ বছরে কক্সবাজারের ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এলাকার জলদাস, হরিদাসরা তাদের পেশা হারিয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছে অনেক আগেই। দখল হয়ে যাচ্ছে মহেশখালীর বনভূমি। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে পান চাষ। শিল্প বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীতে। এখন আর মাছ পাওয়া যায় না কক্সবাজারের নদীতে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে কক্সবাজার সংলগ্ন মাতারবাড়ি অঞ্চলে উপকূলীয় মৎস্য সম্পদ ও মৎসজীবীদের জীবন-জীবিকা হুমকীর মুখে।
বরগুনার তালতলীর টেংরাগিরির পরিবেশকর্মী আরিফুর রহমান বলেন, আগুনে পুড়েছে টেংরাগিরির বন এলাকা। পুড়ে গেছে প্রায় ১০ হাজার গাছ। বনবিভাগ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উচ্ছিষ্ট ছাইগুলো ফেলা হচ্ছে নদীতে।
বাগেরহাটের মোংলার কমলা সরকার বলেন, আমার বাড়ি পশুর নদীর পাড়ে। এ যাবৎ ৭-৮ বার ভেঙ্গেছে আমার বাড়ি। আমরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু আমাদের মাছ ধরতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। আমাদের জেলেরা অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করে নিয়ে ফেলছে কৃষি জমিতে। আমরা নারীরা বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি লবণাক্ততা বেড়ে যাবার কারণে।
বরগুনার পাথরঘাটার পরিবেশকর্মী শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, বিষখালী নদীতে নতুন নতুন চর জাগছে ফলে সাগরের মাছ নদীতে আসতে পারছে না। জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হলে তাদের কোন তথ্য মালিকদের কাছে পাওয়া যায় না। রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় দখল হচ্ছে বন। দখল হচ্ছে খাল আর নদী। উপকূলে মানুষের সমস্যা সমাধানে আমরা একটি উপকূল বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবী জানাই।
বাগেরহাটের মোংলার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী প্রজ্ঞা নূর বলেন, উপকূলের শিশু হিসাবে আমিও শিকার জলবায়ু পরিবর্তনের। শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করতে হবে আমাদের।
ভূক্তভোগীগণ আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদীতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, অনাবৃষ্টি, বর্জ্য থেকে পানিদূষণও ইলিশের অভয়াশ্রমের প্রবেশপথে নানা প্রকল্পে ভরাট হয়ে যাওয়ায় ভরা মৌসুমে ইলিশের দেখা না মেলার মূল কারণ। উপকূলের লবণ চাষের জন্য উল্ল্যেখযোগ্য কক্সবাজারের মহেশখালীতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়াতে লবণ চাষীদের জমিতে লবণ পানি প্রবেশ করানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রকল্প কর্তৃপক্ষের বাধ দেওয়ার কারণে লবণ পানি প্রবেশ করিয়ে পানি শুকিয়ে লবণ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেখানে এখন পানিও আসেনা, আর তাই লবণ চাষও হয় না। যার ফলে লবণ চাষের উপর নির্ভরশীল চাষীরা পড়েছে জীবিকার সংকটে।
উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় এই সংলাপ থেকে সরকার, সুশীল সমাজ, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, পরিবেশ কর্মী এবং ভূক্তভোগী জনগণকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।