বর্তমানে সুদ হারের ভিত্তি হলো স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি) বিলের সুদহার। এর সঙ্গে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ মার্জিন যোগ করে ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারিত হয়।
আগের অর্থবছরের গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার হার ৯ শতাংশ তুলে নেওয়ার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
জুলাইয়ে ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের গড় সুদহার (স্মার্ট রেট) ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, আগস্টে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২০ শতাংশ, অক্টোবরে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, নভেম্বরে ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ হয়।
ডিসেম্বরে ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ, জানুয়ারিতে ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং সবশেষ ফেব্রুয়ারিতে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশে ওঠে। আর এই স্মার্টে ভর করে মার্চে বাড়ল সুদহার।
সুদহারের এ ঊর্ধ্বমুখী লাগাম টানতে পূর্ব নির্ধারিত মার্জিন ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সম্পর্কিত একটি সার্কুলার জারি করে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ঋণের সুদহার মনিটারি পলিসির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং অর্থনৈতিক গতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে মার্জিন পুনঃনির্ধারণ করলো।
মার্চ মাসে সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্মার্টের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সুদ হার হবে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ।
এবং প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্মার্টের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশশিক ৫০ শতাংশ যোগ হবে। অর্থাৎ প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদ হার হবে ১২ দশমিক ১১ শতাংশ।
বাড়তি এ সুদহার নতুন ঋণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।